Breaking News

ঘোড়ার গাড়ী চড়ে বিয়ে করে মরহুমা দাদীর ইচ্ছা পুরন করলো পলাশবাড়ীর রেদোয়ান

 দাদীর ইচ্ছা পূরুনে নিজের বিয়েতে এক ভিন্ন রকমের আয়োজন করেন গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা রেদোয়ান সরকার ।দাদীর ইচ্ছা পুরুনে ও নিজের বিয়েকে ইতিহাস করে রাখতে বর যাত্রী নিয়ে ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে কনে আনতে গেলেন বর রেদোয়ান সরকার। কনের বাড়ির খাওয়া দাওয়া শেষে বর আবার ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে কনে ছাবিহা আক্তার মিমকে নিয়ে ফিরেন নিজের বাড়ি।

আনন্দে মাতেন বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষ, শিশুরাও। ব্যতিক্রমী এ আয়োজনটি ঘটে শুক্রবার (৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী ও ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের ছেলে রেদোয়ান এঁর বিয়েতে।

বর রেদোয়ান সরকার পলাশবাড়ী উপজেলার মহদীপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও বিশিষ্ট পরিবহন ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামের মেঝ ছেলে। বর নিজেও একজন পরিবহন ব্যবসায়ী এবং কনে ছাবিহা আক্তার মিম পলাশবাড়ী পৌর শহরের গৃধারীপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী মোতাহার হোসেন সরকার এর কন্যা। তিনি অনার্সে পড়াশুনা করছেন।

ঘোড়ার গাড়ী চড়ে বিয়ে করে মরহুমা দাদীর ইচ্ছা পুরন করলো পলাশবাড়ীর রেদোয়ান

বর রেদোয়ান সরকার জানান,আমার দাদীর স্বপ্ন ছিল ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে কনে আনতে যাবো। দাদী অনেক আগেই মারা গেছে তার সেই ইচ্ছা পুরুনে বাবা ও বড় ভাই এমন আয়োজন করেন।

তিনি আরো জানান, তার মতো সবাই যদি নিজেদের বিয়েতে এমন আয়োজন করে তাহলে বিলুপ্ত হওয়া গ্রামীণ ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসবে। এদিকে ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন দেখে মুগ্ধ এলাকাবাসি। বর ও কনের এমন বিয়ে দেখতে ভীর জমায় স্থানীয়রা।

বর যাত্রী এনামুল হক সরকার মকবুল ও রানা সরকার জানান,আমরা অনেক আগে দেখেছি বিয়েতে বাহন হিসেবে গরুর গাড়ী,ঘোড়ার গাড়ী ছিল,এখন এ বাহনগুলো বিলুপ্তি প্রায়।অনেক বছর পর এমন আয়োজন দেখে ভালই লাগছে।

ঘোড়ার গাড়ী চড়ে বিয়ে করে মরহুমা দাদীর ইচ্ছা পুরন করলো পলাশবাড়ীর রেদোয়ান

বিয়ের আয়োজন দেখতে আসা আলমগীর হোসেন জানান, তিনি প্রায় ৩৫ বছর আগে বিয়ে করেন। তার বিয়ের অনেক আগেই পালকী ও ঘোড়া চলে গেছে। কিন্তু তিনি আজ এ আয়োজনের কথা শুনে ছুঁটে আসেন এমন দৃশ্য দেখতে। ব্যাতিক্রমী এ আয়োজন দেখে মুগ্ধ তিনিও।

বরের বড় ভাই এর বন্ধু এ্যাড.আবেদুর রহমান সবুজ জানান, আমার বন্ধু তার বিয়েতে দাদীর ইচ্ছা পুরুন ও প্রাচীন ঐতিহ্য তুলে ধরতে চেয়েছিল। আজ সেটা তুলে ধরেছে। বর্তমান তরুণ প্রজম্ম বিষয়টি দেখে অনুপ্রাণিত হবে। এবং যারা বিয়ে করেনি তারা এমন ব্যাতিক্রমী আয়োজন করলে গ্রামীন ঐতিহ্য আবারও ফিরে আসবে। বরের বড় ভাই রুপস সরকার জানান,দাদীর ইচ্ছা পুরুনে আমরা এমন আয়োজনটি করেছি। সব কিছু মিলে ভালই লাগছে।

বিয়েতে আসা মেহের মিয়া জানান, তিনি আগে তার দাদা-দাদীর মুখে বর ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে কনের বাড়ি থেকে কনেকে ঘোড়ার গাড়ীতে করে নিয়ে যায় এমন গল্প শুনেছিন। কিন্তু আজ তিনি নিজের চোখে তা দেখেছেন। আর এমন দৃশ্য দেখে তিনি মূগ্ধ হয়েছেন।বর যাত্রী ও কনের আত্মীয় স্বজনদের জন্য ছিল বিভিন্ন ধরণের খাবারের আয়োজন।


কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷