গোবিন্দগঞ্জে কাজল নামে এক মহিলার সন্তানের পিতৃপরিচয়ের দাবী
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে কাজল বেগম নামে এক মহিলা সন্তানের পিতৃপরিচয় ও স্ত্রী হিসেবে স্বীকৃতির দাবীতে দ্বারে দ্বারে ঘুরছে। অসহায় এ মহিলা ভূমিষ্ঠ সন্তান নিয়ে মানবেতর জীবন-যাপন করছে।
জানা গেছে,গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের মিরুপাড়া গ্রামের মোঃ কালামের পরিত্যক্তা মেয়ে কাজল বেগমের উপর কুনজর পড়ে একই গ্রামের জাহিদুল ইসলামের লম্পট ছেলে মেনারুল ইসলামের। বিভিন্ন সময় সে কাজলী বেগমকে কু প্রস্তাব দিত।এরই একপর্যায়ে গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর একটি ফাঁকা বাড়িতে কাজলকে জোরপূর্বক মেনারুল ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় কাজলীর চিৎকার ও চেঁচামেচিতে আশেপাশের বাড়ির লোকজন ছুটে এসে মেনারুলকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে। এ সময় লোকজন মেনারুলকে আটক করলে সে কাজলকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। এমতাবস্থায় বিক্ষুব্ধ লোকজন শান্ত হয়ে মেনারুলের কথা মেনে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। এরপর থেকেই মেনারুল কাজলকে বিয়ে করতে নানা টালবাহালা শুরু করে।
এদিকে কাজল ধর্ষিত হওয়ার কারণে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। এ অবস্থায় বার বার মেনারুলকে বিয়ের কথা বললে সে বিয়ের অস্বীকৃতি জানিয়ে গা ঢাকা দেয়।
বাধ্য হয়ে কাজল গত ২২-১১-২০২১ ইং তারিখে নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনাল-২ গাইবন্ধায় মেনারুল সহ ৫ জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে কাজলসহ তার পরিবারের লোকজনকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে মেনারুল।
একপর্যায়ে গত ২২ ফেব্রুয়ারী মেনারুল ও তার লোকজন দলবদ্ধভাবে কাজলের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে কাজলের গর্ভে থাকা সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে পেটে স্বজোরে লাথি মারে এবং বেধরক মারপিট করে।
মামলা চলাকালীন সময়ে গত ২১-৬-২০২২ ইং তারিখ রাতে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাজল বেগম একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দেয়। সন্তান জন্মের পর থেকেই কাজল বেগম দারুণ ভাবে ভেঙ্গে পড়েছেন। সমাজে এখন সে কিভাবে মুখ দেখাবে। সন্তানকেই সে কিভাবে লালন-পালন করবে।
এসব বিষয় নিয়ে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তার ভূমিষ্ঠ সন্তানের পিতৃপরিচয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য প্রশাসন সহ সকলের নিকট আকুল আবেদন জানিয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷