সাদুল্লাপুরে চাকুরির প্রলোভনে নববধূকে দলবেঁধে ধর্ষণ
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার এক নববধৃ (১৮) কে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভনে ডেকে এনে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় সাদুল্লাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ মামলার এজাহার নামীয় ২ আসামিকে আটক করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) বিকেলে মামলার বিবরণের জানা গেছে, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার রেশমবাড়ী গ্রামের ওই মেয়েকে তার বাবা প্রায় একমাস পুর্বে একই উপজেলার বারাবিল গ্রামে বিয়ে দেন। এখানে সংসার চলাকালে অপরিচিত কুড়িগ্রামের চিলমারীর উত্তর মাচাবান্ধা গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে জোবায়দুর ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে মেয়েটির কথকপোন হয়। এরপর ওই নববধূকে চাকুরি নিয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে জোবায়দুর ইসলাম গত ১০ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে তাকে সিরাজগঞ্জে ডেকে আনে। এখান থেকে রাত ১ টার দিকে বগুড়া সাতমাথায় জোবায়দুর ইসলাম ও তার বন্ধু মানিক শেখ কৌশলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার বনগ্রাম ইউনিয়নের কিশামত শেরপুর গ্রামের মানিক শেখের বাড়িতে ১১ জানুয়ারি রাত ৩ টার দিকে নববধূকে নিয়ে আসে। এসময় জোবায়দু ইসলামের পরিচিত আরও কয়েক বন্ধুমিলে নববধূর ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে তারা। একপর্যায়ে ধর্ষিতা মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে মানিক শেখের বাড়িতে রেখে অন্যান্য ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। এমন সময় মেয়েটি কৌশলে তার বাবার বাড়িতে ফোনে বিষয়টি অগত করায়। এমতাবস্থায় অভিভাকরা খবর পেয়ে সাদুল্লাপুরের কিশামত শেরপুর গ্রামের মৃত হবিবুর শেখের ছেলে মানিক শেখের বাড়ি থেকে ধর্ষণের শিকার হওয়া মেয়েকে পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করা হয়।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে মেয়ের বাবা বলেন, চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আমার মেয়েকে অপহরণের পর জোবায়দুর ইসলাম ও তার আরও কয়েক সহযোগি মিলে জোরপুর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার রায় জানান, এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করাসহ জোবায়দুর ইসলাম ও মানিক শেখকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷