পলাশবাড়ীতে সরকারি জমি দখল করে অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ
গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার জামালপুর গ্রামে মহাসড়ক পার্শ্বস্ত, এসআর কাউন্টার সংলগ্ন অধিগ্রহণকৃত সরকারি জমিতে অন্যায় ভাবে অবকাঠামো নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। এর ফলে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। ক্ষতির মুখে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের নির্মাণ কাজের জন্য রাস্তার দুইপাশে সরকার ভূমি অধিগ্রহণ করে। অধিগ্রহণ করার পরেও সেই অধিগ্রহণকৃত ভূমি অন্যায় ভাবে টিনের ছাপড়া নির্মান করেছেন অভিযুক্ত লিয়ানুর রহমান বিপুল এবং লোমানুর রহমান টিটু নামের দুই ভাই।
এমতাবস্থায় ব্যবসায়িক ভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছেন অবকাঠামোর পিছনে থাকা কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
এই ব্যাপারে অভিযোগকারী আব্দুল্লাহ আল রাজীবের সাথে কথা হলে তিনি এই প্রতিবেদককে জানান-" আমার একমাত্র আয়ের উৎস এই দোকান গুলো। অন্যায় ভাবে আমার দোকান গুলোর সামনে এবং সরকারি জমির উপর অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে আমার ক্ষতি করার জন্য। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আমি এর ন্যায্য বিচার দাবী করছি"।
এই বিষয়ে একজন দোকানীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, " আমার দোকানের সামনে ছাপড়া ঘরটি তোলার কারণে ব্যবসার ক্ষতি হচ্ছে। আমরা এর সমাধান চাই।"
অপর আর এক ভাড়াটিয়া(এসআর কাউন্টার) তিনি বলেন, "আমাদের কাউন্টারের সামনে ঘর বানানোর কারণে আমাদের টিকিট বিক্রি কমে গেছে। এতে করে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। অনতিবিলম্বে ঘরটি সরানোর দাবী জানাচ্ছি।"
এই ঘটনায় অভিযুক্ত লোমানুর রহমান টিটুর সাথে কথা হলো তিনি এই প্রতিবেদককে জানান, সরকার আমাদের নিকট থেকে ভূমি অধিগ্রহণ করেছে কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা ভূমি অধিগ্রহণের কোনো টাকা পাই নাই। যে কারণে আমরা ভূমিতে ছাপড়া নির্মান করেছি। রাজীবের সাথে আমাদের কোনো বিরোধ নেই।"
উল্লেখিত অবকাঠামোর বৈধতা বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের কর্মকর্তা প্রকৌশলী আজমল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, " সরকার কর্তৃক অধগ্রহণকৃত ভূমি দখলের উদ্দ্যেশ্যে অবকাঠামো নির্মাণ সম্পূর্ণ বেআইনি"
পলাশবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি, তদন্ত) লাইছুর রহমান জানান, এই ব্যাপারে আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তীতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে"।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷