ফরিদপুরেবিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে প্রেমিকার অনশন।
ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে বিয়ের দাবিতে এক প্রেমিকা শীতকে উপেক্ষা করে গত দুই দিন যাবত তার প্রেমিকের বাড়িতে অনশন করছেন। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ময়না ইউনিয়নের রানীদৌলা গ্রামে।
জানা যায়, উপজেলার ময়না ইউনিয়নের রানীদৌলা গ্রামের শামচুর রহমান শেখের ছেলে মেহেরাব শেখ (১৮)। সে স্থানীয় একটি কলেজের উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির প্রথম বর্ষের ছাত্র। পার্শ্ববর্তী আলফাডাঙ্গা উপজেলার চর পাঁচুড়িয়া গ্রামের কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীর (১৯) মামার বাড়ি মেহেরাব শেখের বাড়ির পাশে। ওই ছাত্রী পার্শ্ববর্তী উপজেলার একটি কলেজ থেকে এবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এই সুবাধে এক পর্যায়ে মেহেরাবের সাথে বয়সে বড় ওই ছাত্রীর গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি ওই ছাত্রীর পরিবার মেহেরাবের সাথে তাদের মেয়ের বিয়ের কথা বললে মেহেরাবের পরিবার সুযোগ বুঝে মোটা অংকের টাকা যৌতুক দাবি করে। মেয়ের পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগাড় করা অসম্ভব। বিয়ের আর সম্ভাবনা না থাকায় ওই ছাত্রী বুধবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধ্যা থেকে প্রেমিকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছেন।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার (১৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মেহেরাব শেখের বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, ওই প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাড়ির উঠানে একা বসে আছেন। আর প্রেমিক মেহেরাব শেখের বাড়ি তালাবদ্ধ। বাড়িতে কেউ ছিল না। তবে বুধবার রাতে অনশনরত মেয়েকে ওই বাড়ির লোকেরা তাদের ঘরে আশ্রয় দেন বলে আশেপাশের বাড়ির লোকেরা জানান।
বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় এই রিপোর্ট লেখার সময়ও তীব্র ঠান্ডার মধ্যে ওই প্রেমিকা প্রেমিকের বাড়ির উঠানে বসেছিল।
এ ব্যাপারে ময়না ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. রাশেদ শেখ জানান, বিয়ের দাবিতে মেয়েটি অনশণ করছে শুনেছি। তবে এলাকার বাইরে থাকায় যেতে পারিনি।
ময়না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাসির মো. সেলিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাকে একজন চৌকিদার বিষয়টি ফোনে জানিয়েছে। বিয়ের দাবিতে মেয়েটি অনশণ করছে শুনেছি।
বোয়ালমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, মেয়েটির অনশনের ঘটনা শুনে বিষয়টি জানার জন্য উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷