Breaking News

আপনি জানেন কি নাক ফুল কেন বিবাহিত মহিলাদের জন্য আবশ্যক ?

 কানের দুল, চুড়ি, আংটি, গলার হার প্রভৃতি যেমন এক একটি অলঙ্কার, ঠিক তেমনই নাকের ফুলও একটি অলঙ্কার হিসেবেই ব্যবহার করা হয়। তবে এই অলঙ্কারটি আগের দিনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিবাহিত মহিলাদের জন্য আবশ্যক ছিল । এটি কেন বিবাহিত মহিলাদের জন্য আবশ্যক ? আবার ও পুরুষতন্ত্র!! এর আবশ্যকতার একটি বিশেষ কারণ হচ্ছে স্বামীর মঙ্গল কামনা!!!। বিবাহিত মহিলারা স্বামীকে বিপদমুক্ত করার কামনায় এই অলঙ্কার পরতেন । স্ত্রীর নিঃশ্বাস প্রশ্বাস বা দীর্ঘশ্বাস যাতে স্বামীর গায়ে না লাগে তাই এই গয়নাটি একটি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হতো। অবাক করা ! তাই না? কিন্তু যুগ যুগ ধরে মহিলারা তাই করে আসছে ।

এই গয়নার আবিষ্কার হয়েছে বেশ কয়েক হাজার বছর আগেই। শুধু হিন্দু ধর্মে নয়, মুসলমান, খ্রিস্টান ও শিখদের মধ্যেও এই গয়না পরার রেওয়াজ আছে। 


অনেক অনেক আগে ফেরাওউনের স্ত্রী আসিয়া এর সময়ের কথা। ফেরাওউনের স্ত্রী আসিয়া দেখতে সবচেয়ে বেশি সুন্দর ছিলেন তাই অন্যান্য স্ত্রীরা হিংসার বশবর্তী হয়ে তার নাক এবং কান ফুটা করে দেয় যাতে তাকে দেখতে অসুন্দর লাগে। কিন্তু এতে হয় হিতের বিপরীত। নাক এবং কান ফুটা করার পর তাকে আরও বেশি সুন্দর লাগে। তখন থেকেই মেয়েরা সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে নাক কান ফুটা করছে।

আবার হিন্দু রীতিতে নাকফুলের ব্যবহারের প্রথার প্রমাণ মেলে তাদের প্রতিমা দেখলেই। হিন্দু ধর্মাবলম্বী নারীরাও সেই আদিকাল থেকেই নাকফুল ব্যবহার করে আসছে।
খৃষ্টানদের বাইবেলে লেখা আছে, ভূমধ্য সাগরীয় অঞ্চলে ছেলের বউ রেবেকাকে স্নেহ এবং ভালবাসার চিহ্ন স্বরূপ নাকফুল উপহার দেন আব্রাহাম। এর কিছুদিন পর থেকেই বেদুইন এবং যাযাবরদের মাধ্যমে চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে নাকে গয়না পড়ার রীতি।
আবার এও বলা হয় যে ষোড়শ শতাব্দিতে ভারতীয় উপমহাদেশে মুঘলদের আগমনের পরই ওইসব অঞ্চলে মেয়েদের নাক ফুল খুব জনপ্রিয় হতে শুরু হয়।

কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷