শেষ মুহুর্তে জমে উঠেছে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে আগামী ৩০ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে পৌরসভা নির্বাচন। নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে, ততই বাড়ছে নির্বাচনী উত্তাপ। শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্রই চলছে নির্বাচনী আলাপন। নির্বাচনকে সামনে রেখে গোবিন্দগঞ্জ পৌরশহরসহ পৌরসভার সমস্ত অলিগলি সাঁজ সাঁজ রব। অনেকে আবার পছন্দের প্রার্থীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চালাচ্ছেন ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা। বেশ জমে উঠেছে পৌরসভার নির্বাচন। প্রার্থীরা ঘুরছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে, দিচ্ছেন নানান উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি। নির্বাচিত হরে আধুনিক পৌরসভা গড়া ও সব ধরণের নাগরিক সুবিধা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন তারা। উঠান বৈঠক, চা-চক্র ও কুশলাদি বিনিময়সহ সামাজিক কর্মকান্ডের মধ্যে দিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন মানুষের কাছে। ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ২৯ হাজার ৯শত ৭৯ জন ভোটার আগামী ৫ বছরের জন্য গোবিন্দগঞ্জ এ গ্রেড পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত করবেন। নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে মেয়র, কাউন্সিলর, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরা মাঠে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন ভোটারদের মন জয় করতে।
তৃতীয় ধাপের এবারের নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের প্রার্থী কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সদস্য ও সাবেক জেলা প্যানেল চেয়ারম্যান কে,এম খন্দকার জাহাঙ্গীর আলম, নারিকেল গাছ প্রতীকে নির্বাচন করছেন সতন্ত্র প্রার্থী মুকিতুর রহমান (রাফি), মোবাইল প্রতীকে জহুরা খাতুন, বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী ফারুক আহন্মেদ, হাতপাখা প্রতীকে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন আনিছুর রহমান। সবমিলিয়ে ৫ জনই মেয়র পদে নির্বাচিত হতে বিভিন্ন কর্মপরিকল্পার কথা ভোটারদের কাছে উপস্থাপন করছেন। এ ছাড়া ৩৭ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ১২ প্রার্থীও নির্বাচনী মাঠে জোরেশোরে প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে মেয়র পদে ৫ প্রার্থী পৌরসভাকে আধুনিক, পরিকল্পীত নগরায়ন প্রতিষ্টা করতে বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা ভোটারদেরকে কাছে তুলে ধরছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী খন্দকার জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ দফায় দফায় গণসংযোগ করেছেন।
ভোটাররা বলছেন, অন্যান্য জেলার পৌরসভা থেকে গোবিন্দগঞ্জ পৌরসভা উন্নয়নে অনেকটাই পিছিয়ে আছে। সামান্য বৃষ্টি হলেই পৌরসভায় জলাবদ্ধতা তৈরি হয়। এমনকি শিশুদের বিনোদনের জন্য নেই কোনো বিনোদন পার্ক ও ছেলে, মেয়েদের জন্য নেই খেলার মাঠ। তারপরও সততার সঙ্গে যে পৌরসভার উন্নয়নে কাজ করবে এবং শিশুদের জন্য বিনোদন পার্ক তৈরি করে দিবে এমন প্রার্থীকে বেছে নিতে চান তারা। তবে শেষ মুহূর্তের প্রচার-প্রচারণায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা। বড় দুই দলের প্রার্থীরা ভোটারদের মন জয় করার জন্য দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্রুতি।
গোবিন্দগঞ্জ পৌর নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুল মোতালেব জানান, পৌর নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে ইতিমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। পুরো পৌরসভা নিরাপত্তার চাদরে ঢাকা থাকবে, এক্ষেত্রে তিনি প্রার্থী ও ভোটারদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷