রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের একবারপুর নামক স্থানে গাছ ফেলে মাইক্রোবাসে ডাকাতি
রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার ধাপেরহাটে গাছ ফেলে মাইক্রোবাসে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় ডাকাতদল মাইক্রোবাসে থাকা নারীসহ কয়েকজনকে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে স্বর্ণালংকার ও মোবাইল ফোনসহ নগদ টাকা লুট করে নেয়।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টার দিকে সাদুল্লাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শারমিন নাহার নামে এক ভুক্তভোগী। এর আগে সোমবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের ধাপেরহাট বন্দরের অদূরে একবারপুর নামক এলাকায় এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী শারমিন নাহার বলেন, সোমবার ঢাকায় আমার বাবার মৃত্যু হয়। বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার বাসা থেকে একটি মাইক্রোবাসে করে গ্রামের উদ্দেশে রওনা দেই। মাইক্রোবাসে আমার সঙ্গে মেয়ে, ভাতিজি, মামাতো বোন, জেঠাত ভাই-ভাবি ও তাদের সন্তানরা ছিল। পরে রাত সাড়ে ১২টার দিকে আমাদের মাইক্রোবাসটি মহাসড়কের সাদুল্লাপুরের ধাপেরহাটের একবারপুরে পৌঁছালে ৭-৮ জনের একটি ডাকাতদল দুটি গাছ কেটে সড়কের ওপর ফেলে মাইক্রোবাস আটক করে। এসময় তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাইক্রোবাসের গ্লাস ভেঙে সবার কাছে থাকা মোবাইল ফোন, বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, ভ্যানটি ব্যাগসহ নগদ টাকা লুট করে নেয়। ঘটনাটি তাৎক্ষণিক টহল পুলিশকে জানিয়ে আমরা রংপুরের শুকুরেরহাট আতিরেরপাড়া গ্রামে যাই। তিনি বলেন, ঘটনার সময় ডাকাতদল তাদের বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখায়। শার্ট-গেঞ্জি ও প্যান্ট পড়া ডাকাতদের বয়স ২০ থেকে ২৫ বছর হবে। ডাকাতদল তাদের কাছ থেকে প্রায় চার লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণালংকার, মোবাইল ফোন ও নগদ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায়। বাবার দাফন সম্পন্ন করে এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছি। ডাকাতির এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের পাশাপাশি মোবাইল ফোনসহ লুট করা স্বর্ণালংকার ও টাকা উদ্ধারের দাবিও জানান তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে সাদুল্লাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার জানান, ভুক্তভোগীর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তকরণসহ গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷