ভাতের বিনিময়ে’ পড়াতে চান পাঁচবিবির আলমগীর,বিজ্ঞাপন ভাইরাল
শুধুমাত্র দু’বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই (সকাল ও দুপুর)’ এমন লেখা সম্বলিত পোস্টার বগুড়া শহরের জহুরুল নগর এলাকার দেওয়ালে দেওয়ালে সাটিয়ে দিয়েছেন আলমগীর কবির নামের এক যুবক। পাশাপাশি তিনি তার ফেসবুকের ওয়ালেও পোস্ট করেছেন বিজ্ঞপ্তিটি।
আলমগীর কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মাস্টার্স শেষ করার আগে থেকেই সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন জায়গায় চাকরির চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি। ভাইবাতেও টিকেছে। কিন্তু কোথাও চাকরি মেলেনি। হয়তো টাকা অথবা মামা খালু না থাকায়।পরীক্ষা ভালো দিয়েও চাকরি না পেলে আমি কি করব? এখনও ৪০ জায়গায় চাকরির আবেদন করা আছে। দেখি সেগুলোর মাঝে যদি কিছু হয়।
আলমগীর কবির বলেন, আমার বিসিএস প্রস্তুতি নেওয়া আছে। ইংরেজি ভাষার ওপর দুটো কোর্স করা আছে। ২০২০ সালে একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিলাম। বেতন অল্প কিন্তু সময় বেশি যাচ্ছে। এদিকে আমি পছন্দের জায়গায় আবেদন করে রেখেছি সেগুলোর প্রস্তুতিও নিতে হবে। পড়াশোনার সময় পাচ্ছিলাম না। এ জন্য গার্মেন্টসের চাকরি ছেড়ে দেই। পরে এক সময় বগুড়ায় আসি। এখানে পড়াশোনা করাকালীন একটা বাড়িতে লজিং থাকতাম।
‘শুধুমাত্র দু’বেলা ভাতের বিনিময়ে পড়াতে চাই’-বিজ্ঞপ্তিটির বিষয়ে তিনি বলেন, আমার পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না। বন্ধুদের কাছে টাকা ধার করে চাকরির পরীক্ষা দিতে গেছি। ধার পরিশোধেরও একটা চাপে আছি। অথচ পকেটে মাত্র ৩২ টাকা রয়েছে। সন্ধ্যায় একটা টিউশনি করাই। প্রথম দিকে স্টুডেন্টের মা নাশতা দিতেন। তখন তাকে বলি নাশতার বদলে আমাকে ভাত দেবেন। তারপর থেকে তিনি ভাত দেন। এই এক বেলা করেই আমি খাই দীর্ঘদিন হলো। বিজ্ঞপ্তিটি দিয়েছি কারণ পরিচিত অনেককেই বলেছিলাম টিউশনির জন্য। আরও দু’একটি টিউশনি পেলে চাকরি হওয়ার আগ পর্যন্ত চলা যাবে। কিন্তু নতুন কোনো টিউশনি পাইনি। তাই এভাবে ফেসবুকে পোস্টার করেছি। যদি এই সুযোগটা পাওয়া যায়। তবে খাবার নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷