Breaking News

পলাশবাড়ীর রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে

 গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হোসেনপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রায় এক কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন দ্বিতল ভবন নির্মাণে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জত হোসেনের উপস্থিতিতে ব্যাপক অনিয়ম করে কাজ করা হয়েছে। ভবনের ঢালাই কাজে স্টিলের সার্টার ব্যবহার করার কথা থাকলেও কাঠের সার্টার দিয়ে দায়সারা ঢালাই কাজ ও ভবনের নিচের মাটি হতে পিলার গুলো ৭ ফিট লম্বা করার কথা থাকলেও ৫ ফিট করা হয়েছে, ভবনের বিম গুলোতে রিং রড ব্যবহার করা হচ্ছে ৫ ইঞ্চি হতে ৭ ইঞ্চি পর পর, পাথর হাফ ইঞ্চি মাপের বদলে ১ ইঞ্চি হতে দেড় ইঞ্চি পরিমাণ বড় বড় পাথর ও নিম্নমানের বালু দিয়ে ভবন নির্মাণের সত্যতা পাওয়া গেছে।

যে কারণে আজ স্কুলটিতে সরেজমিনে পুনরায় গিয়ে দেখা যায়, বিমগুলোতে পরিমাণের চাইতে রড কম ও স্টারাটব না দেওয়ায় আপ-ডাউন হয়ে নিচু হয়েছে। বিমগুলোর উপর চিকন এবং নিচের দিকে মোটা হয়েছে। প্রধান শিক্ষককের অভিযোগ ঠিকাদার পানি দেয় না। ঢালাইয়ের কাজে স্টীলের সার্টারের বদলে কাঠের সার্টার ব্যবহার করা হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি নয় উপজেলা প্রকৌশলী তাহাজ্জত হোসেন ও ঠিকাদার বাবু মিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় জনসাধারণ বলেন, উপজেলা প্রকৌশলী অফিসের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অনিয়ম করে ভবন নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। তাদের এসব অনিয়ম বিষয়ে কেউ কোন কথা বলতে পারছেনা। নানা প্রকার অনিয়মের মধ্যে বাস্তবায়ন হচ্ছে ভবন নির্মান কাজ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনটি সঠিকভাবে নির্মাণে ও সকল অনিয়ম বন্ধে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সবুর মন্ডল দৈনিক আলোকিত সকাল ও মতপ্রকাশ পত্রিকাকে বলেন, আমরা ভবনের কাজ সম্পর্কে বুঝিনা তবে উপ সহকারি প্রকৌশলীদের নিকট কাজ সম্পর্কে ধারণা নিচ্ছি। তিনি আরো জানান, ঢালাইয়ের কাজে স্টীলের সার্টারের বদলে কাঠের সার্টার ব্যবহারের ঘটনাটি সত্য।

উক্ত স্কুলের সহকারি শিক্ষক মনোরঞ্জন দৈনিক আলোকিত সকাল ও মতপ্রকাশ পত্রিকাকে জানান, ঠিকাদার পানি দেয় না। পানি আমাদের দিতে হচ্ছে। বিমগুলো আপ-ডাউন হয়েছে রড কম দেওয়ার কারণে। পাথর বড়, প্লেনসিটের বদলে কাঠ দিয়ে ঢালাই করা হয়েছে।

এবিষয়ে এলজিইডির গাইবান্ধা জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী ছাবিউল ইসলাম দৈনিক আলোকিত সকাল ও মতপ্রকাশ পত্রিকাকে জানান, বিষয়টি দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


কোন মন্তব্য নেই

মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷