অটো পাশেও প্রতারণার শিকারে ফেল করল দুই ছাত্রী
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ছোনকা রহিমের নওশের আলী ডিগ্রী কলেজের ছাত্রী মিম ও তানজিনা আক্তার এর ভাগ্যে জুটল না এইচএসসি পরীক্ষার অটো পাশের কৃতকার্যের ফলাফল। প্রতারকের প্রতারনায় অটোপাশের কৃতকার্যের স্বপ্ন ভেস্তে গেল একই গ্রামের একই কলেজের দুই ছাত্রীর।
ঘটনার বিবরণে জানা যায় উপজেলার সুঘাট ইউনিয়নের দড়িহাসড়া গ্রামের ফেরদৌস আলম এর কন্যা মিম আক্তার রফিকুল ইসলামের কন্যা তানজিনা আক্তার তারা দুজনই ছোনকা রহিমা নওশের আলী ডিগ্রি কলেজের একাদশ শ্রেনীর শিক্ষার্থী। এ দুই শিক্ষার্থী কলেজের আসা-যাওয়ার পথে পরিচয় ঘটে ছোনকা বাজারের কসমেটিকস দোকানদার শামিমের সাথে। একপর্যায়ে গত ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে এইচ এস সি পরীক্ষার ফর্মফিলাপ শুরু হলে আলাপ গল্পে কসমেটিকস দোকানদার বহু অপকর্মের হোতা পার্শ্ববতী বিরইল গ্রামের মৃত ছানোয়ার হোসেনের পুত্র প্রতারক শামীম(৩২) ঐ শিক্ষার্থীদের ভুল বুঝিয়ে কলেজ প্রিন্সিপাল তার মামা হয় এগুলো বলে অল্প টাকায় ফরম ফিলাপ করে দেয়ার জন্য ঐ শিক্ষার্থীদের কাছথেকে মোট চার হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়।সরল মনে ঐ প্রতারকের হাতে টাকা দিয়ে তারা বাড়ি ফিরে যায়। পরবর্তীতে দেশে মহামারি করোনা দুর্যোগে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধ এবং সরকারের সকল পরীক্ষায় অটো পাশের ঘোষনা আসে।এদিকে ঐ শিক্ষার্থীরা ফরম ফিলাপতো হয়ে গেছে এমন দৃঢ় মনোবল নিয়ে বাড়ীতে সময় কাটাতে থাকে। কিন্ত বিধিবাম গত২৮ অক্টোবর বুধবার ঐশিক্ষার্থীরা কলেজে যায় এইচ এস সি পরীক্ষার প্রবেশপত্র উঠানোর জন্য গিয়ে প্রবেশ পত্র চাইলে সর্বমোট ২৯০জন ছাত্র /ছাত্রীর প্রবেশ পত্র কলেজে আসলেও ওই দুই ছাত্রীর প্রবেশ পত্র তন্য তন্য করে খুজে না পেলে তারা কলেজ থেকে হাউ মাউ করে কাঁদতে ছোনকা বাজারের একটি দোকানে এসেও কাঁদতে থাকে। তখনি বিপত্তি তাদের কাঁদা দেখে একটু এগিয়ে জানা যায় তাদের কাছথেকে এতথ্য।
প্রতারকের খপ্পড়ে পড়া ঐ ছাত্রীরা জানান আমরা বাজারে মাঝে মধ্যেই কেনাকাটার জন্য যাই এই সুবাদে তার সাথে হালকা পরিচয়। সে আমাদের বলে ঐকলেজের প্রিন্সিপাল তার মামা হয় একটু কমের মধ্যেই ফর্মপুরুন করে দিবে তারএ কথায় সরল বিশ্বাসে ওর হাতে চার হাজার টাকা দিয়ে বাড়িতে যাই। ঐ ছাত্রীরা আরো জানান প্রবেশপত্রের কাগজ না আসায় তার দোকানে গিয়ে দেখি দোকান বন্দ করে ঐ প্রতারক পালিয়েছে।


কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷