পূর্ণিমার ছবি কে তুলে দেন?
চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা, যতটা না রাঙিয়েছেন দেশীয় চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রি, তারচেয়ে বেশি রাঙাচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়া। বিশেষ করে যে শ্রেণি 'নায়িকা পূর্ণিমা'কে চেনেনি, তারা চিনছে বিগত হওয়া চিত্রনায়িকা পূর্ণিমাকে। এই প্রজন্মের কাছে দিলারা হাফিজ পূর্ণিমার এক অনন্য ক্রেজ তৈরি হয়েছে, যা নায়িকাকে, চিত্রনায়িকার বাইরের এক আসন তৈরি করে দিয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার জনগণের কাছে পূর্ণিমা অসম্ভব জনপ্রিয়। এই জনপ্রিয়তা তৈরি হয়েছে পূর্ণিমার ফ্যাশন সচেতনতার কারণে। নিত্যনতুন ছবি পোস্ট করলেই নেটিজেনরা হুমড়ি খেয়ে পড়েন, লাইক ও মন্তব্যের জন্য যেন উন্মুখ হয়েই বসে থাকেন। বিশেষ করে পূর্ণিমার ছবিতে লাইকের বন্যা বয়ে যায়। বরাবরের মতো শনিবার পূর্ণিমা কয়েকটি ছবি পোস্ট করেন। যেখানে একজন সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, 'জানি তো কখনোই যে ছবি তুলে দেয় তাকে দেখা যাবে না।'
পূর্ণিমার ছবিতে লাখ লাখ লাইক আর হাজার হাজার মন্তব্য থাকে। সচরাচর নায়িকা এসব খেয়ালও করেন না। কিন্তু গতকাল ওই মন্তব্যের উত্তর দেন। উত্তর দিয়ে লেখেন, 'এই ছবিগুলো আমার মেয়ে তুলে দিয়েছে।' সে সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তাঁকে উত্তর দেবেন পূর্ণিমা। আর যে প্রশ্ন উঁকি দিয়েছিল সে প্রশ্নের উত্তরও মিলে যায়। এই মন্তব্য ঘিরে অনেক সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী মজা পেয়েছেন। কেননা সেই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয়ে যায় উন্মাদনা।
পূর্ণিমার চলচ্চিত্র জগতে পথচলা শুরু হয়েছিল জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত এ জীবন তোমার আমার চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। কাজী হায়াৎ পরিচালিত ওরা আমাকে ভালো হতে দিল না (২০১০) চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে তিনি তার প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
পূর্ণিমা অভিনীত জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে এফ আই মানিক পরিচালিত অপরাধ-নাট্যধর্মী লাল দরিয়া (২০০২), মতিউর রহমান পানু পরিচালিত প্রণয়ধর্মী মনের মাঝে তুমি (২০০৩), চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত যুদ্ধভিত্তিক মেঘের পরে মেঘ (২০০৪) ও নাট্যধর্মী সুভা, এবং এস এ হক অলিক পরিচালিত প্রণয়ধর্মী হৃদয়ের কথা (২০০৬) ও আকাশছোঁয়া ভালোবাসা (২০০৮)।
পূর্ণিমার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় রিয়াজের বিপরীতে। রিয়াজের বিপরীতেই ২৫টির বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন পূর্ণিমা।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷