গোবিন্দগঞ্জে মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও আসামী গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের মধ্য দরবস্ত গ্রামে জমিজমা নিয়ে আদালতে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজের বাড়ীতে আগুন দিয়ে মিথ্যা মামলার সুষ্ঠ তদন্ত ও মারপিট সহ শ্লীলতাহানী মামলার আসামী গ্রেফতারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলণ
আজ ১০ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় নিজ গ্রামে ভুক্তভোগি পরিবারের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলণ পাঠ করেন ওই গ্রামের মরহুম আলতাফ হোসেন বাদশা সরকারের বড় মেয়ে মোছাঃ আজমিরা রহমান সাথী। তিনি তার লিখিত বক্তব্যে বলেন আমার মরহুম পিতার কবলাকৃত জমির উপর একই গ্রামের মৃত-মজিবর রহমানের স্ত্রী ছালেহা বেওয়া বাদী হয়ে ৬৪ জনকে বিবাদী করে ২০১৮ সালে গাইবান্ধা যুগ্ন জেলা জজ আদালতে বাটোয়ারা মামলা দায়ের করেন। যার পিটিশন নং-৬৩/২০১৮। ওই মামলায় ১৪ থেকে ২১ নং বিবাদী করা হয় আমাদের পরিবার থেকে। ছালেহা বেওয়া সর্ম্পকে আমার দাদী হানুফা বেওয়ার ছোট বোন। ওই মোকদ্দমার জমি কবলা সুত্রে আমার পিতার নামে বি.আর.এস খতিয়ান ও নামজারী ওয়ারিশ হিসেবে চাষাবাদ করে আসছি। মামলার বাদী সমন নোটিশ গোপন করিয়া গত ১৮-১১-২০১৯ ও ২৪-১১-২০১৯ ইং তারিখে একতরফা রায় নেয়। এ বিষয়টি জানতে পেরে আমার পরিবারের ওয়ারিশগণ ওই আদালতেই ডিক্রী রদের মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০৭/২০২০। ছালেহা বেওয়ার মৃত্যুর পর তার নাতি মিজানুর রহমান আমার পরিবারের উপর নতুন ভাবে মামলা দিয়ে ফাঁসিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র বুনতে থাকে। গত ৬ জানুয়ারী আমাদের ভোগদখলীয় জমিতে ভাইয়েরা হালচাষ করতে যায়। সেখানে মিজানুর রহমান বাঁধা দিতে ব্যর্থ হয়ে বাড়ীতে ফিরে এসে নিজ ঘরের আসবাবপত্র স্ত্রী সহ অনত্র সড়ে নেয় এবং তার স্ত্রী বাড়ীতে আগুন লেগে দেয়। এর প্রত্যক্ষস্বাক্ষী পাশের বাড়ীর নজরুল ইসলামের ছেলে ৫ম শ্রেণীর ছাত্র সোহান মিয়া। তিনি আরো বলেন মিজানুর নিজের ছেলেকে ওই আগুনে পুড়ে মারার চেষ্টা করলে তাকে রক্ষা করেন পাশের বাড়ীর মৃত-নামাল উদ্দিনের ছেলে মজনু মিয়া। ওই সময় আমার ছোট বোন সোনিয়া আক্তার সন্ধি এগিয়ে যেয়ে ভিডিও ধারণ করে। সেখানে মিজানুর ও তার লোকজন মারপিট এবং শ্লীলতাহানী ঘটায়। আমাদের পরিবারের সুনাম নষ্ট করতে মিজানুর রহমান আমাকে সহ আমার অন্যান্য ভাই, বোন, ভাগিনাকে আসামী করে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। তাই নিজের বাড়ীতে আগুন দিয়ে অন্যকে ফাঁসানোর জন্য সাজানো মামলার সুষ্ঠ তদন্তের দাবী জানাচ্ছি প্রশাসনের প্রতি। এ সংবাদ সম্মেলণে উপস্থিত ছিলেন পরিবারের সকল সদস্য ও গ্রামবাসি। এ ছাড়াও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকগণ উপস্থিত ছিলেন।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷