গাইবান্ধায় দুই পৌরসভায় ভোট গ্রহণ শুরু||ঘন কুয়াশা ও শীত উপেক্ষা করে ভোট কেন্দ্রমুখী ভোটাররা
সারাদেশে দ্বিতীয় ধাপের একযোগে ৬০ টি পৌরসভার সাথে গাইবান্ধাতেও উৎসব মূখর পরিবেশে শুরু হয়েছে দুইটি পৌরসভা নির্বাচনের ভোট গ্রহন। সকাল ৮ থেকে শুরু হওয়া গাইবান্ধা পৌরসভা ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার ভোট গ্রহন চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
গাইবান্ধা পৌরসভা ও সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বেশ কয়েকটি ভোট কেন্দ্রের খবর নিয়ে জানা যায় শীত ও ঘন কুয়াশা উপেক্ষা করে আজ শনিবার (১৬-
জানুয়ারী) সকাল থেকেই ভোট কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে ভোটাররা।
জানাযায়,গতকাল শুক্রবার (১৫ জানুয়ারী) বিকেলে ব্যালট পেপার ছাড়া ভোট গ্রহনের জন্য সকল সরঞ্জামাধি প্রতিটি কেন্দ্রে পাঠানো হয়। আজ শনিবার সকাল ৭ টার মধ্যে সকল কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌচ্ছে দেয়া হয় এবং সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে।
তথ্যসুত্রে জানা যায়, গাইবান্ধা পৌরসভায় মেয়র পদে ৮ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী শাহ মাসুদ জাহাঙ্গীর কবীর (নৌকা, বিএনপির মো. শহিদুজ্জামান শহীদ (ধানের শীষ), স্বতন্ত্র মো. আনওয়ার-উল-সরওয়ার (রেল ইঞ্জিন), ফারুক আহমেদ (কেরাম বোর্ড), মো. শামছুল আলম (মোবাইল), মো. আহছানুল করিম (চামুচ), মো. মির্জা হাসান (জগ) ও মতলুবর রহমান (নারীকেল গাছ) প্রতীক। এছাড়া সংরক্ষিত নারী পদে ১৭ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪১ জন প্রার্থী রয়েছে।এ পৌরসভায় পুরুষ ২৪ হাজার ৫৯০ জন এবং নারী ভোটার ২৬ হাজার ৭৯৭ জন মোট ৫১ হাজার ৩৮৭ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
অপরদিকে, সুন্দরগঞ্জ পৌরসভায় মেয়র পদে ৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন- আওয়ামীলীগের মনোনীত আব্দুল্লাহ আল মামুন (নৌকা), বিএনপির আবু খায়ের মশিউর রহমান সবুজ (ধানের শীষ), জাতীয় পার্টির আব্দুর রশীদ রেজা সরকার ডাবলু (লাঙ্গল), এনডিএমের গোলাম আহসান হাবীব মাসুদ (সিংহ), স্বতন্ত্র খয়বর হোসেন মওলা (নারিকেল গাছ), আল-শাহাদাৎ জামান জিকো (জগ), ও দেবাশীষ কুমার সাহা (মোবাইল) প্রতীক। এছাড়া সংরক্ষিত নারী পদে ১১ জন ও সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৩২ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ পৌরসভায় পুরুষ ৬ হাজার ৮৬৩জন এবং নারী ভোটার ৭ হাজার ২০৮ জন মোট ১৪ হাজার ৭১ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে পছন্দের প্রার্থীদের নির্বাচিত করবেন।
এ নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ করতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনজন অস্ত্রধারীসহ আটজন আনসার সদস্য এবং চার থেকে ছয় জন পুলিশ সদস্য নিযুক্ত থাকবেন। এছাড়াও পুলিশ ও র্যাবের স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ১৩ টি মোবাইল কোর্ট তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়াও গাইবান্ধা পৌরসভা নির্বাচন এলকায় ৩ প্লাটুন বিজিবি এবং সুন্দরগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন এলাকায় ২ প্লাটুন বিজিবি সার্বক্ষনিক টওলের জন্য নিযুক্ত করা হয়েছে।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷