গাবিন্দগঞ্জে কর ও হোল্ডিং প্লেট স্থাপণের অর্থ আদায় ও এলজিএসপি বিল উত্তোলণে ঠিকাদারের কাছে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবী করায় সংবাদ সম্মেলণ
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ১৭ নং শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের বরখাস্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীম কর্তৃক আত্মসাতকৃত বসতবাড়ীর কর ও হোল্ডিং প্লেট স্থাপনের ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫ শ’ টাকা ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা ও বর্তমান ইউ’পি চেয়ারম্যান মোছাঃ নাহিদা আক্তার রুমা এলজিএসপি’র কাজের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইসমাইল ট্রের্ডাস এর নিকট বিল দেওয়ার নামে ২ লাখ টাকা উৎকোচের দাবী করায় সকল ইউ’পি সদস্যদের সংবাদ সম্মেলণ অনুষ্ঠিত হয়।
গত ২ জানুয়ারী সকাল ১১ টায় গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে ইউ’পি সদস্যদের পক্ষে লিখিত সংবাদ সম্মেলণ পাঠ করেন সাবেক চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) আইয়ুব আলী। তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর শালমারা ইউনিয়ন পরিষদে অনুষ্ঠিত ভোটে আমির হোসেন শামীম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি ইউনিয়ন পরিষদের বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতি-সেচ্ছাচারিতা করতে থাকেন। এ কারণে ১০ জন ইউ’পি সদস্য তার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব গ্রহণ করেন। ফলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ধারা ৩৯ মোতাবেক তৎকালীন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা বিশেষ সভা আহবান করলে সেই অনাস্থা প্রস্তাবে ১০ জন ইউ’পি সদস্য স্বাক্ষর করেন। এহেন কর্মকান্ডের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে কার্যক্রম পরিচালনা করা সমীচীন নয় বলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৯ (১৩) ধারা মোতোবেক জনস্বার্থে সরকার তাকে চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ করে ইউনিয়ন পরিষদ আইন ২০০৯ এর ৩৫ (২) ধারা অনুযায়ী স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-সচিব মোঃ ইফতেখার আহম্মেদ চৌধুরী বিগত ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রæয়ারী প্রজ্ঞাপন জারী করেন। সেই প্রজ্ঞাপনের ক্ষমতা বলে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শীলাব্রত কর্মকার শালমারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদটি গত ২০১৮ সালের ২৬ ফেব্রæয়ারী শূন্য ঘোষনা করে বিজ্ঞত্তি প্রকাশ করেন। তিনি তার বক্তব্যে আরো বলেন, চেয়ারম্যান পদ থেকে আমির হোসেন শামীম দূর্নীতির দায়ে বরখাস্ত হলেও অদ্যপর্যন্ত এই ইউনিয়নের জনগণের কর ও হোল্ডিং প্লেট স্থাপনের আতœসাতকৃত টাকা এখনও ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা দেন নাই। এর মধ্যে গত ২৯ অক্টোবর/২০ ইং তারিখে অত্র ইউনিয়ন পরিষদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার সহধর্মিণী নাহিদা আক্তার রুমা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তিনিও তার স্বামীর স্থলাভিষিক্ত হয়ে বিভিন্ন অনিয়ম, দূর্নীতির সাথে জড়িয়ে পড়ছেন। ইতি মধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শীতার্ত মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে এই ইউনিয়নে ২ শ’ ৫০ পিছ কম্বল প্রেরণ করেণ। এ কম্বল কোথায় কাকে দিয়েছে কোন ইউ’পি সদস্য তা জানেন না। এমনকি এলজিএসপি’র কাজ যে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান করেছে সেই কাজের বিল উত্তোলণে তার কাছে ২ লাখ টাকা উৎকোচ দাবী করেন। অন্যথায় তিনি বিল দিবেন বলে ওই প্রতিষ্ঠানের স্বর্ত্বাধিকারীকে জানান। এ ছাড়া ও জনগণের আতœসাত করা ১৩ লাখ ৬৬ হাজার ৫ শ’ টাকা ৭ দিনের মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা দিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রামকৃষ্ণ বর্মণ ২০১৯ সালের ২৫ নভেম্বর নোটিশ প্রদান করেন বরখাস্ত চেয়ারম্যান আমির হোসেন শামীমকে। এতেও সে আতœসাত করা অর্থ ইউনিয়ন পরিষদের তহবিলে জমা না দেওয়ায় ইউনিয়নের ১২ জন ইউ’পি সদস্য যৌথ স্বাক্ষরে গত ২৩ নভেম্বর গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত ভাবে অবহিত করেন। এ সংবাদ সম্মেলণে আতœসাত করা অর্থ ফিরত নিতে ইউনিয়নের সকল ইউ’পি সদস্যগণ সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবী জানান। সংবাদ সম্মেলণ উপস্থিত ছিলেন সকল ইউ’পি সদস্য সহ অত্র ইউনিয়নের গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।
কোন মন্তব্য নেই
মনে রাখবেন: এই ব্লগের কোনও সদস্যই কোনও মন্তব্য পোস্ট করতে পারে৷